জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

মধ্যরাতে কুমিরা রেলস্টেশনেঃ সংগৃহীত


যারা মোবাইল অপারেটর বা তাদের ভেন্ডর কোম্পানিগুলোতে কাজ করেন, তারা জানেন যে নেটওয়ার্কের মেইনটিনেন্সের জন্য প্রায়ই রাতে কাজ করতে হয়। রাতের এ কাজকে 'প্ল্যান্ড ওয়ার্ক' বলা হয়। আমি যেহেতু একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের অপারেশন্সে কর্মরত আছি, তাই আমারও অনেক সময় রাতে 'প্ল্যান্ড ওয়ার্ক' থাকে। 'প্ল্যান্ড ওয়ার্ক' থাকলে সারারাত কাজ করে সকালে বাসায় ফিরি।
এবার মূল ঘটনায় আসি। প্রথমে আমার পোস্টিং ছিল চট্টগ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছিল চিটাগাং শহর থেকে সীতাকুণ্ডের দিকে যেতে মধ্যবর্তী কুমিরা নামক স্থানে। ঘটনার রাতে আমার 'প্ল্যান্ড ওয়ার্ক' ছিল কুমিরা রেলস্টেশনের কাছের একটি মোবাইল বেসস্টেশনে। গ্রামে বিসতৃর্ণ বিশাল মাঠের মাঝে অথবা শহরে সুউচ্চ অট্টালিকার ছাদের ওপরে টাওয়ার এবং তার সাথে একটি ঘর অনেকেই দেখেছেন। একেই সংক্ষেপে বলে বেসস্টেশন (আসলে বিটিএস বা বেস ট্রান্সিভার স্টেশন)। বেসস্টেশনগুলোতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকে। সেসব যন্ত্রপাতির মধ্যে থাকে 'রেডিও ইকুইপমেন্ট' এবং 'ট্রান্সমিশন ইকুইপমেন্ট'। ক্যাবল বা তারের সাহায্যে ল্যাপটপে ইনস্টল করা সফটওয়্যার দিয়ে এসব যন্ত্রপাতিতে লগ-ইন করতে হয়। তারপর প্রয়োজনীয় কমান্ড দিয়ে কাজ করতে হয়।
রাত দুটোয় ছিল আমার কাজ। আমি কুমিরা রেলস্টেশনে পৌঁছলাম রাত দেড়টার দিকে। তখন স্টেশনটি ছিল একদম জনমানবহীন। গাড়ি রেলস্টেশনের কাছেই রাখতে হয়; তাই ড্রাইভারকে সেখানে গাড়িটা রাখতে বলে আমি টর্চ জ্বালিয়ে রেললাইনের পাশের বালুর পথ ধরে বেসস্টেশনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। চারদিকে তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। রাতটাও মনে হয় ছিল অমাবস্যার। আশেপাশের কিছুই তেমন পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল না। যতদূর চোখ যাচ্ছিল, শুধুই নিকষ কালো অন্ধকার! দূরের বিশাল বিশাল গাছগুলোকে কেমন জানি অতিপ্রাকৃত মনে হচ্ছিল। তবে আকাশের তারাগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আকাশে ছিল অগণিত তারা; তারার ওপর তারা ঠেঁসে যেন আলোকবিন্দুর সতূপ তৈরি হয়েছে! সব মিলিয়ে সেই আধিভৌতিক পরিবেশে কিছুটা ভয় এসে ভর করল আমার ওপর। ভয়ের মতো ভয়ংকর পরজীবী বস্তু পৃথিবীতে নেই! অন্য পরজীবীদের ভ্যাকসিন বা ঔষধে মোকাবিলা বাগায়েব করা যায়। কিন্তু ভয়কে মোকাবিলা করার কোনো অস্ত্র নেই। তবে অন্য পরজীবী দেহের 'পুষ্টি' শুঁষে নিলেও ভয় শুধু চায় 'প্রশ্রয়'। আমি বুঝতে পারছিলাম যে, ভয়কে যথেষ্ট প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছি। একটু পরেই ফণা তুলে সে আমাকেই ধাওয়া করবে।
ধীরে ধীরে আমার হাঁটার গতি দ্রুত হতে লাগল। টর্চের আলো সামনে ফেলতে ফেলতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আঁতকে উঠে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দেখলাম, একটা কুচকুচে কালো রঙের বিশালাকৃতির বিড়াল স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। অতিমাত্রায় নিস্তব্ধ পরিবেশে কানে বোধহয় ধাপা ধরে গিয়েছিল। চারপাশের কোনো শব্দই কানে আসছিল না। টর্চের আলোতে বিড়ালের জ্বলজ্বলে চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে ভয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এল। খানিক বাদে বিড়ালটাই উল্টো ঘুরে দৌড় দিল। আমি সেখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে দ্রুত হেঁটে বেসস্টেশনে পৌঁছলাম। বেসস্টেশনের রুমের মধ্যে ঢুকেই রুমের লাইট জ্বালানোর পর যেন জানে পানি ফিরে পেলাম।
সে রাতে একসাথে আরও কয়েকটা বেসস্টেশনে অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে কাজ হচ্ছিল। বিভিন্ন লোকেশনে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ অন্য বেসস্টেশনে থাকা এক ইঞ্জিনিয়ার ভাইয়ার সামান্য ভুলের কারণে নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে গেল। নেটওয়ার্ক ডাউন হওয়াতে কারও সাথে তখন যোগাযোগের কোনো উপায় নেই, তাই আমি নেটওয়ার্ক আপ হওয়ার অপেক্ষায় চুপচাপ বসে রইলাম। 'বিপদ যখন আসে, চতুর্দিক দিয়েই আসে'-এই কথাটার বক্তাকে খুঁজে বের করে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া উচিত। অতি সত্যি একটি কথা। আমিও এর সত্যতা হাড়ে-হাড়ে টের পেলাম। কারণ কয়েক মিনিট পরেই চলে গেল বিদু্যৎ! মুহূর্তেই আমার পুরো শরীর ভয়ে জমে ঠাণ্ডা হয়ে গেল। হাত-পা যেন অবশ হয়ে গেল। সেই মুহূর্তে নিজেকে কেমন জানি ওজনহীন মনে হচ্ছিল; পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেছে! অন্ধকারে মনে হলো, কোনো কালো ছায়া আমার ঘাড়ের পেছনে রক্তমাখা দাঁত বের করে দাঁড়িয়ে আছে। ঝট করে পেছনে ঘুরে দাঁড়ালাম। মনে হলো, কালো ছায়াটাও স্থান পরিবর্তন করে আবার আমার পেছনেই এসে দাঁড়িয়েছে। শুনেছি, মানুষ ভয় পেলে বৃক্কীয় গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মানুষকে শান্ত ও স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু আমি শান্ত হওয়া তো দূরে থাক, আরও অস্থির হয়ে উঠলাম। কারণ, মনে হচ্ছিল ছায়াটা ধীরে ধীরে আমার চারপাশে বিসতৃত হয়ে আমাকে গিলে ফেলতে চাইছে। আমি আড়চোখে ডানে-বামের দেওয়ালে তাকাতেই সেই কালো ছায়াকে যেন প্রসারিত হতে দেখলাম। টর্চ জ্বালিয়ে হুড়মুড় করে বাইরে চলে এলাম। গাড়ি যেদিকে দাঁড়ানো ছিল, সেদিকে জোরে হাঁটা ধরলাম।
আবারও মনে হলো, একটা ছায়া আমাকে ফলো করছে। এবারও একদম উল্টো ঘুরে পেছনে টর্চ মারলাম। সামনে যতদূর চোখ গেল, কাউকে দেখতে পেলাম না। তবে দূর থেকে টাওয়ারের মাথায় চোখ পড়তেই মনে হলো, সেখানে কেউ বসে আছে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম, কেউ একজন টাওয়ারের ওপরে বসে পা দুলাচ্ছিল। আর স্থির থাকতে পারলাম না। টর্চ জ্বালিয়ে গাড়ির দিকে রুদ্ধশ্বাসে দৌড় দিলাম।
অল্প সময় দৌড়ানোর পরই একটা লোককে আমার দিকে আসতে দেখলাম। কিছুটা শান্ত হলাম। ঘুটঘুঁটে অন্ধকারে গায়ে চাদর জড়ানো লোকটির মুখ ছিল একপ্রকার অস্পষ্টই। লোকটি যখন আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল, তখন আমার দিকে তাকাতেই আমি আঁতকে উঠলাম। ভয়ংকর সেই লোকটা কিছু একটা চিবিয়ে খাচ্ছিল। সবচেয়ে ভয় পেলাম, তার মুখের চারপাশে লেগে থাকা রক্ত দেখে। 'ওয়াক থু' বলে সে মুখে জমে থাকা কিছু পরিমাণ রক্ত বালুর পথের ওপর ফেলল। তারপর আমার দিকে অগি্নদৃষ্টিতে তাকাল। লোকটির চেহারায় ছিল অস্বাভাবিক কাঠিন্য! চেহারা স্পষ্ট দেখতে না পাওয়াতে আমার কাছে আরও বিকটদর্শণ মনে হচ্ছিল। তখন আমাকে ভয় এতটাই গ্রাস করেছিল যে, মুখের চামড়ায় ভাঁজ পড়া ড্রাকুলা দেখতে যেমন হয়, লোকটিকে আমার স্রেফ তেমনই মনে হচ্ছিল! আমি কোনো দিক না তাকিয়ে দিলাম দৌড়। একটু সামনে গিয়ে পেছনে টর্চ মেরে দেখি লোকটা নেই। আর বেশি কিছু চিন্তা না করে দৌড়াতে লাগলাম। গাড়িতে কাছে পৌঁছে মনে হলো, নতুন জীবন ফিরে পেলাম।
ইলেকট্রিসিটি আসার পর আবার টর্চ জ্বালিয়ে বেসস্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। রেললাইনের পাশের বালুর রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে বেসস্টেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। পায়েহাঁটা রাস্তার বালুতে, আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া লোকটির পায়ের ছাপগুলো দেখে আমি শিউরে উঠলাম। লোকটির পায়ের ছাপগুলো ছিল উল্টো!
পাদটীকা: আমার এই ঘটনার একটা ব্যাখ্যা আমি বের করতে সক্ষম হয়েছি। আসলে প্রচণ্ড ভয়ে আমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছিল। এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে জানতে পেরেছি, হ্যালুসিনেশন হলে এমনটা হতে পারে। বেসস্টেশনের কালো ছায়া অথবা টাওয়ারের ওপরে বসে পা দুলাতে থাকা জলজ্যান্ত মানুষ ছিল আমার হ্যালুসিনেশনের ফল। আর আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া লোকটি আসলে পান চিবাচ্ছিল। আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম বলে ইলিউশনের কারণে তার মুখটা আমার কাছে রক্তামাখা ও বিকৃত মনে হয়েছিল। পরে কাজ শেষে সকালে ফেরার সময় রেললাইনের পাশের বালুর পথে পানের পিক পড়ে থাকতে দেখেছি। সেই জায়গাতেই লোকটা মুখ থেকে রক্ত ফেলেছিল বলে আমি ভেবেছিলাম। পানের পিক প্রায় শুকিয়ে গিয়েছিল বলে চিনতে অসুবিধা হয়নি। আর লোকটির পায়ের ছাপ আমাকে সেই মুহূর্তে ভয় পাইয়ে দিলেও সেটা আসলে সেই পথ ধরে হেঁটে যাওয়া অন্য কোনো মানুষের পায়ের ছাপ ছিল। ঐ লোকটির পায়ের ছাপ ফেরার পথে দেখতে পেয়েছি। এ ধরণের ঘটনাগুলো আমাদের জীবনে ভৌতিক অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। আর আমরা যখন তা কাছের মানুষদের কাছে বলি, তখন তা আরও রোমহর্ষক হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে।...............। ০০৭
নতুন ঘরে জিন নিয়ে বাস্তব গল্প পরতে ক্লিক করুন এখানে...

নতুন ঘরে জিন ..................

আবার ফিরে এলাম আরেক ঘটনা নিয়ে আশা করি ভালো লাগবে………
ধর্মে জ্বীন আছে বিশ্বাস করা হয় ৷ বিজ্ঞান সেটা বিশ্বাস করে না আবার করে ও ৷ সেরকম একটা ঘটনা…………
সংগেই থাকবেন আশা করি………
ধানমন্ডির একটা বাড়ি ৷ বাড়ি দোতলা………
এক চাইনিজ ভদ্দোরনোক বাড়িটি করেন……
তিনি বাড়িটি পুরো উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করেন………
চলুন এইবার বাড়িটির বর্ণনা………
বিশাল বাড়ি ৷ টাকা পয়সা অনেক খরচ করছে………
সিকিউরিটি সিস্টেম রাতারাতি চমকপ্রদ ৷ প্রতিটা রুমের মুখেই লেজার ৷ মেইন গেটে ও দুটো ৷ মেইন গেট নিচে তারপর তালায় তালায় কেচিগেট ৷ কেউ ঢুকতে খবর আছে ৷ লেজার মেশিন ওয়ার্নিং করে………
সেরকম বাড়ি ৷ আর দোতলার সিড়ি আর মেইনগেটে রয়েছে অলটাইম ভিডিও ক্যাম ৷ যা অল টাইম চালু থাকে এবং সব তালায় মনিটরিং সেল বিদ্যমান ৷

সেখানে করার পর ভাড়া দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত করা হয়…………
BUBT University এর তিনবন্ধু ৷ দারুন স্মার্ট ৷ আধুনিক ছেলেমেয়ে ৷ ভূতেপ্রেতে বিশ্বাস নাই ৷ আর মর্ডানাইজড ও ৷ এমন বাড়ি পেয়ে আর হাতছাড়া করলো না ৷ থাকা শুরু করলো………
আড্ডা মাস্তি অলটাইম ৷ আরে সে কি দিনাতিপাত ৷
কেটে গেলো ১৫ দিন ৷ আর ঘটনার শুরু এখান থেকেই………
রাত্রেবেলা তারা নতুন মুভি আনলো দেখতে ৷ মজা করে দেখছে ৷ হঠাৎই তাদের মেইন দরজা পেরোলে যে লেজার সেটা ওয়ার্নিং দিতে শুরু করল ৷ ওরা বলে এতো রাতে চোর ৷ তারাতারি বেরিয়ে পড়লো দেখতে ৷ দেখে কিচ্ছু না ৷ তবুও ওয়ার্নিং দিচ্ছে……
তো মনে করলো লেজার নষ্ট ৷
ওটার লাইন অফ করে দিলো……
ঐ রাতে আর কিছু হলো না ৷ তো সকালবেলা অন করলো এইবার চলে ৷
তো কিছু মনে করার কারণ নাই……
মনে ও করলো না………
সেইদিন রাত্রে ১২ ঠাপ সময় আবার ওয়ার্নিং ৷ এবার আবার জলদি আসলো ৷ দেখলো কেউ নাই ৷ তবুও দিচ্ছে ওয়ার্নিং ৷
দু মিনিট পর ওদের রুমে ওয়ার্নিং দিলো ৷
আগের টা অফ ৷ এইবার ভয় লাগলো……
কে আশা যাওয়া করছে ??
অদৃশ্য শক্তি…………
উফফ ভয়ে তিনটা জুবুথুবু তবুও বুক ফুলিয়ে হাটে… …
মডার্ন ছেলে তারা ৷ তখন ই ডোরবেল বাজলো………
আর দারোয়ান ও রাত্রে থাকে না ৷ নিচ তলাও কেউ নাই! ! তবে বেল দিবে কে??
তখন তারা সাহস করে দরজা খুলে কেউ নাই ৷ ওরা প্রায় ঘেমে গেছে ৷ পাচ মিনিট পর আবার বেল ৷ এবার খুললো দেখলো কুকুর বসে আছে………
যা অসম্ভব দরজা সব বন্ধ ৷ ঢুকলো কি করে?? তখন আরেকটা বন্ধু ভিতরে যেয়ে লাঠি নিয়ে আসে তিনটা ৷ তখন তিনটা মিলে যে কুকুরকে বাড়ি দিবে সেই হাওয়া………
আরো ভয় লাগলো………
এভাবে আরো একমাস কাটলো পরিস্থিতির চেঞ্জ নাই ৷ তাদের মামা বাইরে ছিলো মামাকে বলেছে যে তাদের জন্য হাই ডেফিনেশন এর ক্যামেরা দিতে ৷ তার মামাকে আর কিছু বলে না৷
তারপর আসলো ক্যামেরা সব ঠিক করলো ক্যামেরার…………
ক্যামেরার ক্যালার এমন করে রাখসে………
যাতে সব কিছু ধরা পড়ে ৷ কোন কিছুর অবয়ব……
রাত্রে বেলা এবার আবার ওয়ার্নিং………
যেই তাদের রুমে ঢুকলো তারা ক্যামেরা অন করে রুমে খুজতে লাগলো……
তারা খুজতে খুজতে ফ্রিজের চিপার দিকে যেই ক্যামেরা তাক করল ৷ভেসে উঠল দুটো অবয়ব ৷ পিচ্চি দুটো বাচ্চা মেয়ের……………
ছবি না যাস্ট অবয়ব……………
তারপর বুঝে নিল যা বুঝার………
বাড়িটা ছেড়ে দিলো………
চাইনিজ লোকটার পয়সা সংকটের কারনে বেচে দিলো………
আরেক বিত্তবান কিনে ওটাতে হুজুর ঢেকে বান দিল………
এখন আর নেই………
ঘটনা ২০০৬ সালের
কেমন লাগলো???

ভালো লাগ্লে লিঙ্ক টিতে চাপুন পরব্রতী গল্পের জন্য ...

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রথম দেখায় মেয়ে পটান......।। টিপস ১

১। এমন ভাবে হাসবেন যেন জাকে দেকছেন শুধু সেই জেন বোঝে।
২। তার চোখের দিকে আক্তানা চেয়ে থাকুন জতক্কন চোখে চোখ না পরে।
৩। ৫ বার চোখাচোখি হওার পর যায়গা পরিবতন করুন।

click here for more love tips............

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

ভালোবাসার প্রথম শর্ত

অনেক ছেলেরাই তার জীবন সঙ্গীনী হিসাবে একজন ভাল মনের নারী খুঁজেন। খুঁজতে খুঁজতে কেউ কেউ পেয়েও যান আবার কেউ না পেয়ে ব্যর্থ স্তব্ধ হয়ে যান। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে অনেক পুরুষই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আবার কেউ কেউ নিজের সুন্দর জীবনটাকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেন নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে। সমাজে এমন ঘটনা অনেক ঘটে থাকে। দেখা যায় অনেক ছেলেরা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুধু সারাক্ষন তার পছন্দের মেয়েটির কথাই ভাবতে থাকে। কিন্তু যে মেয়েটির কথা ছেলেটি ভেবে ভেবে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিল সেই মেয়েটি কি কখনো চিন্তা করে যে তার জন্য একটি ছেলে না খেয়ে খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে? ললনাদের মন জয় করার জন্য একঝাঁক তরুণ গবেষণা করে কয়েকটি কৌশল খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার পছন্দের নারীর মন জয় করবেন।         

১। ভালোবাসার প্রথম শর্তই হল সততা, আপনার প্রিয় মানুষটির নিকট সব সময় সৎ থাকুন। কোন কিছুই তার কাছে গোপন করার চেষ্টা করবেন না।

২। প্রিয় মানুষটিকে তার দূর্বলতায় আঘাত করা যাবনা।

৩। আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। সব ধরনের মেয়ারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের বেশী পছন্দ করে। প্রিয়তমার মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখুন।

৪। প্রিয়তমাকে নিজের ধনসম্পদের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে। সকল নারীরাই তার প্রিয়জনের নিকট থেকে ভালোবাসা পেতে চায়। মেয়েরা চায় তার প্রিয় মানুষটি তার প্রতি খেয়াল রাখুক তার প্রতি যত্নবান হোক। সব কিছুর উর্ধ্বে দেখুক তাকে। 

৫। মেয়েরা রসিক ছেলেদের বেশি পছন্দ করে। সামান্য একটা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে যেসব ছেলেরা তামাশা করতে পারে সেইসব ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে।

৬। মেয়েরা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরাও চায় তার প্রিয় মানুষটি সব সময় ফিটফাট থাকুক।

৭। প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার মত সুযোগ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সে কি জানতে চায়।

৮। নিজের পারিবারিক ব্যাপারে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে নারীরা নিজেদের অনেকটা নিরাপত মনে করে।

৯। আপনার জীবনে যদি পূ্র্বে কোন প্রেম থেকে থাকে তা প্রিয়তমাকে বলতে যাবেন না যদি সে কখোনো জানতে না চায়। প্রিয়তমা জানতে চাইলে তবেই বলা যেতে পারে।

১০। কথার ছলে গল্প বলা মেয়েরা খুব ভালোবাসে। প্রিয় মানুষটির গল্পে-স্বল্পে বিরক্ত হবেন কিন্তু। তাহলে আপনার প্রিয়তমা কিন্তু আপনার উপর রেগে যাবে। 

১১। প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় তার শরীরের দিক না তাকিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগের সহিত কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুবই খুশি হয়।

১২। আপনার মনে বেদনার ঝড় বইতে পারে, তার জন্য বিষয়টি সবাইকে বলে বেড়াবেন তা নয়। প্রিয়তমাকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না দিয়ে হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।

১৩। একটা কথা আছে না, দেখলে মায়া, না দেখলে ছাড়া, কাছে থাকলে পোড়ে মন দূরে গেলে ঠনঠন। তাই যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। তাকে ঘনঘন সময় দিতে পারলে ভালো হয়।

১৪। প্রিয়তমার পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগার প্রতি গুরুত্ব দিন এবং মন্দ লাগার বিষয়গুলোও মাথায় রাখুন।  

১৫। প্রিয়তরার সাথে অন্যকোন নারীর তুলনা করা যাবে না। এটি মেয়েরা মোটেও পছন্দ করেন না।

১৬। অনেকেই ভাবেন প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় না! কথাটি মোটেও ঠিক না। আগে বন্ধুত্ব অতঃপর প্রেম।

১৭। প্রেমিকার বিশ্বাসে কখোনো আঘাত করবেন না। প্রিয়তমার চিন্তা চেতনাকে সম্মান করুন।

১৮। প্রেমিকার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন। শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা বেশিদিন টিকে থাকে না। মন থেকে ভালোবাসুন। তাহলে দেখবেন একসময় অনায়াসেই তার শরীর মন দু’টোই পেয়ে যাবেন।

 ১৯। নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই কোমল। তাই প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবেন না। নরম সুরে নারীর সাথে কথা বলুন। 

২০। নারীরা খুব আবেগ প্রবণ। তারা সবসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। ঘনঘন খোজ খবর নিন।

মনে রাখা উচিৎ ভালোবাসা ছেলের হাতের মোয়া নয়। এটি এমনি এমনি আসে না। একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই ভালোবাসা পাওয়া যায়। ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসা দিতে হয়। প্রেম ভালোবাসা হল সুন্দরের আরাধনা। নারীর মন বুঝতে হলে নারী যেটা পছন্দ করে তার সাথে ঐ ধরনের আচরন করুন, তাহলেই দেখবেন একসময় আপনার প্রতি ভালোবাসায় বিলগিত হয়ে গেছে।   

ভাল লাগলে লিংকটিতে চাপুন...।

বাংলাদেশের সাধিনতার যুদ্ধ- ১ম পর্ব

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।[৯] পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরিকল্গপিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর পতন আনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অত:পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়; প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ( চলবে...)

ভালো লাগলে লিংকটি চাপুন